দু'আ (সকাল সন্ধ্যার আমল)
দু'আ (সকাল
সন্ধ্যার আমল)
সকল দু'আ একত্রে দেখুন
১. ঘর বাড়ি
হেফাজতের দু’আ
اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي، لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، عَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ، وَأَنْتَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ، مَا شَاءَ اللهُ كَانَ، وَمَا لَمْ يَشَأْ لَمْ يَكُنْ، لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ، أَعْلَمُ أَنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، وَأَنَّ اللَّهَ قَدْ أَحَاطَ بِكُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا، اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِي، وَمِنْ شَرِّ كُلِّ دَابَّةٍ أَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهَا، إِنَّ رَبِّي عَلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বি
লা ইলাহা ইল্লা আনতা আ’লাইকা তাওয়াক্কালতু ও আনতা
রাব্বুল আ’রশিল
আজিম, মা-শা-আল্লাহু
কা’না, ওয়ামা লাম ইয়াশা’ লাম ইয়াকুন ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুও’ওয়াতা
ইল্লা বিল্লাহিল আলিঈল আজিম, আ’আলামু আন্নাল্লাহা আলা কুল্লি
শাই ইন ক্বাদির
ও আন্নাল্লাহা ক্বাদ আহাতা বিকুল্লি শাই ইন ই’লমা, আল্লাহুম্মা ইন্নি আ‘উজুবিকা
মিন শাররি নাফসি ওয়ামিন শাররি কুল্লি দাব্বাতিন; আনতা আখিজুম বিনাসিয়াতিহা ইন্না রাব্বি’আলা
সিরাতিম মুস্তাকিম।
অর্থঃ হে আল্লাহ্ ! আপনি আমার প্রভু, আপনি ব্যতীত অন্য কোনো ইলাহ্ নাই, আপনার উপর ভরসা করলাম, আপনি সম্মানিত আরশের মালিক। আল্লাহ্ তাআ’লা যা ইচ্ছা
করেন, তাই হয়; আর তিনি
যা ইচ্ছা করেন না তা হয় না, আল্লাহ্ তা’আলার শক্তি ও সামর্থ্য
ব্যতীত অন্য কোনো
শক্তি বা সামর্থ
নাই, জেনে রেখো যে আল্লাহ্ তাআ’লা সমস্ত জিনিসের উপর শক্তিশালী, ক্ষমতাবান এবং তার
জ্ঞান সমস্ত জিনিসব্যাপ্ত। হে আল্লাহ্! আমার নফ্সের
মন্দ হতে আপনার
নিকট আশ্রয় চাই এবং
প্রত্যেক প্রাণীর মন্দ হতে
যার ঝুঁটি আপনি ধরে
রেখেছেন; নিশ্চয়ই আমার
প্রভু সরল পথে
অধিষ্ঠিত আছেন।
২. শয়তান হইতে হেফাজতের
দু’আ
لا الهَ اِلَّا اللّهُ وَحْدَهُ لا شَرِيْكَ لَهْ، لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلى كُلِّ شَئ ٍ قَدِيْرٌ
উচ্চারণঃ লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা
লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুওয়া ’আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর।
অর্থঃ আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য
নেই, তিনি একক, তাঁর কোন
শরীক নেই। রাজত্ব
তাঁরই, প্রশংসা কেবল
তাঁর জন্যই। তিনি সকল
বিষয়ে ক্ষমতাবান।
৩. নফসিয়্যাত থেকে বাচার
দু’আ
يَاحَىُّ يَا قَيُّوْمُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيْثْ أَصْلِحْ لِىْ شَأْنِىْ كُلَّهُ وَلَا تَكِلْنِيْ إِلَى نَفْسِىْ طَرْفَةَ عَيْنِ
উচ্চারণঃ ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুম
বি রহমাতিকা আস্তাগিস, আসলিহলি শা’নি- কুল্লাহু ওলা
তাকিলনি ইলা নাফসি
ত্বর ফাতা ঈ-ন
অর্থঃ হে চিরঞ্জীব, হে জমিন আসমান ও সমস্ত
মাখলুকের রক্ষাকারী, আমি আপনার রহমতের উসীলায় ফরিয়াদ করিতেছি যে, আমার সমস্ত কাজ দুরস্ত করিয়া দিন এবং
আমাকে এক পলকের
জন্যও আমার নফসের
সোপর্দ করিবেন না ।
৪. চিন্তা থেকে হেফাজতের
দু’আ
حَسْبِيَ اللهُ لا إله إلا هو عَليه تَوَكّلْتُ وهو رَبُّ الْعَرشِ العَظِيْمِ
উচ্চারণঃ হাসবিয়্যাল্লা-হু লা-ইলাহা
ইল্লা-হুওয়া
আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়াহুওয়া রাব্বুল আরশিল আযীম।
অর্থঃ আল্লাহ্ই আমার জন্য
যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত কোন মা’বুদ
নেই, তাঁর প্রতি ভরসা করেছি, তিনি মহান আরশের অধিপতি।
৫. কষ্টদায়ক জিনিস হইতে হেফাজতের
দু’আ
قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ
(সুরা ইখলাস)
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ
(সুরা ফালাক্ব)
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ
(সুরা নাস)
উচ্চারণঃ ক্বুলহু আল্লাহু আহাদ। ক্বুল
আউযু বিরাব্বিল ফালাক। ক্বুল আউযু বিরাব্বিন
নাস।
অর্থঃ
https://muslimbangla.com/quran/sura/112 https://muslimbangla.com/quran/sura/113
https://muslimbangla.com/quran/sura/114
৬. সাইয়্যেদুল ইস্তিগফার
أللّٰهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ
উচ্চারণঃ উচ্চারণ: “আল্লাহুম্মা আনতা
রব্বী লা-ইলাহা
ইল্লা আনতা খালাক্কতানী
ওয়া আনা আ’বদুকা ওয়া আনা
আ’লা আহ্দিকা
ওয়া ও’য়াদিকা
মাসতাত’তু আ’উযুবিকা
মিন শার্রি মা ছা’নাতু
আবূউলাকা বিনি’মাতিকা
আ’লাইয়্যা
ওয়া আবূউলাকা বিযানবী ফাগ্ফির্লী ফাইন্নাহু লা-ইয়াগফিরুয্যুনূবা ইল্লা আনতা
অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি আমার রব। তুমি ছাড়া
আর কোনো সত্য
মাবুদ নাই। তুমি
আমাকে সৃষ্টি করেছ, আমি তোমার বান্দা। আমি তোমার
ওয়াদা ও অঙ্গীকারের
উপর সাধ্যানুযায়ী প্রতিষ্ঠিত। আমি অনিষ্টকর
যা কিছু করেছি
তা থেকে তোমার
কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমার
উপর তোমার যে নিয়ামত
আছে তার স্বীকৃতি
দিচ্ছি। তোমার নিকট আমার
গুনাহের স্বীকৃতি দিচ্ছি। সুতরাং তুমি আমাকে
ক্ষমা করে দাও; কেননা তুমি ছাড়া
আর কেউ গুনাহ
ক্ষমা করতে পারে
না।
৭. ৭০ হাজার
ফেরেশতার দু’আ - হাশরের শেষ তিন
আয়াত
هُوَ اللّٰهُ الَّذِىۡ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ ۚ
عٰلِمُ الۡغَيۡبِ وَالشَّهَادَةِ ۚ
هُوَ الرَّحۡمٰنُ الرَّحِيۡمُ ﴿۲۲﴾
هُوَ اللّٰهُ الَّذِىۡ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَۚ
اَلۡمَلِكُ الۡقُدُّوۡسُ السَّلٰمُ الۡمُؤۡمِنُ الۡمُهَيۡمِنُ الۡعَزِيۡزُ الۡجَـبَّارُ الۡمُتَكَبِّرُؕ
سُبۡحٰنَ اللّٰهِ عَمَّا يُشۡرِكُوۡنَ ﴿۲۳﴾
هُوَ اللّٰهُ الۡخَـالِـقُ الۡبَارِئُ الۡمُصَوِّرُ لَـهُ الۡاَسۡمَآءُ الۡحُسۡنٰىؕ
يُسَبِّحُ لَهٗ مَا فِى السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضِۚ
وَهُوَ الۡعَزِيۡزُ الۡحَكِيۡمُ
উচ্চারণঃ হুওয়াল্লা-হুল্লাযী
লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া ‘আ-লিমুল
গাইবি ওয়াশশাহা-দাতি
হুওয়াররাহমা-নুর
রাহীম। হুওয়াল্লা-হুল্লাযী
লাইলা-হা ইল্লা-হুওয়া
আলমালিকুল কুদ্দূছুছ ছালা-মুল
ম’মিনুল
মুহাইমিনুল ‘আঝীঝুল জাব্বা-রুল মুতাকাব্বিরু
ছুবহা-নাল্লা-হি ‘আম্মা-ইউশরিকূন। হুওয়াল্লা-হুল
খা-লিকুল
বা-রিউল
মুছাওবিরু লাহুল আছমাউল হুছনা-; ইউছাব্বিহুলাহূ মা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদি
ওয়াহুওয়াল ‘ আঝীঝুল হাকীম।
অর্থঃ তিনিই আল্লাহ, যিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই; দৃশ্য- অদৃশ্যের জ্ঞাতা; তিনিই পরম করুণাময়, দয়ালু। তিনিই আল্লাহ; যিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই, তিনিই বাদশাহ, মহাপবিত্র, ত্রুটিমুক্ত,
নিরাপত্তাদানকারী, রক্ষক,
মহাপরাক্রমশালী, মহাপ্রতাপশালী, অতীব
মহিমান্বিত, তারা যা শরীক করে তা হতে পবিত্র মহান। তিনিই
আল্লাহ, স্রষ্টা,
উদ্ভাবনকর্তা, আকৃতিদানকারী; তাঁর
রয়েছে সুন্দর নামসমূহ; আসমান ও যমীনে যা আছে
সবই তার মহিমা
ঘোষণা করে। তিনি
মহাপরাক্রমশারী, প্রজ্ঞাময়।
৮. জাহান্নাম থেকে বাঁচা
দোয়াটি হলো : (সাত বার): اللَّهُمَّ أَجِرْنِى مِنَ النَّارِ
উচ্চারণঃ বাংলা উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আজিরনি
মিনান নার।
অর্থঃ বাংলা অর্থ : “হে আল্লাহ! আমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে
মুক্তি দাও
৯. আমলকারীকে আল্লাহ সন্তুষ্ট করবেন
সকালে ও সন্ধ্যায় এ দু‘আ ৩ বার
পাঠ করবে-
رَضِيْتُ بِاللهِ رَبًّا وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ [صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ] نَبِيًّا
উচ্চারণঃ র দ্বী-তু বিল্লাহি রব্বান অবিল ইসলামি
দ্বীনান ও বি মুহাম্মাদীন নাবিয়্যা
অর্থঃ অর্থঃ আমি সন্তুষ্ট
আল্লাহ তা‘আলাকে
রব হিসেবে, ইসলামকে দীন
হিসেবে এবং মুহাম্মাদ
সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নবী হিসেবে
মেনে নিয়ে।
১০. হঠাৎ মুসীবত
থেকে হেফাজত
এই কালেমাগুলি সকালে ও সন্ধ্যায়
৩ বার পাঠ
করবে
باسْمِ اللَّهِ الَّذِيْ لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِيْ الأرْضِ وَلا فِيْ السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ العَلِيْمُ
উচ্চারণঃ বিসম্মিল্লাহ হিল্লাযী লা ইয়া
দুররু মা আসমিহী
সাইয়ুন ফিল আরদি
ওলা ফিস সামায়ি
ও হুয়াস সামিউল আলিম
অর্থঃ সেই আল্লাহর নামে ( আমি সকাল অথবা সন্ধ্যা করিলাম) যাহার নামের সহিত জমিন আসমানের
জিনিস ক্ষতি করেনা এবং তিনি (সব কিছু) শুনেন ও জানেন। (আবু দাউদ)
১১. শয়তান থেকে হেফাজতকারী
সকালে ও সন্ধ্যায় এ দু‘আ (১০ বার) পড়বে-
لا إلهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ وَهُوَ على كُلّ شَيْءٍ قَدِيرٌ.
উচ্চারণঃ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা
লাহু। লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল
হামদু। ওয়া হুয়া
আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।
অর্থঃ অর্থঃ আল্লাহ তা‘আলা
ব্যতীত কোন মাবুদ
নেই। তিনি একক, তাঁর কোন শরীক
নেই। সর্বময় রাজত্ব একমাত্র তাঁরই জন্য। তাঁরই
জন্য সকল প্রশংসা। তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান।
১২. ফজর থেকে
চাশত পর্যন্ত অজিফার থেকে ভারী
سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ وَرِضَا نَفْسِهِ وَزِنَةَ عَرْشِهِ وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ
উচ্চারণঃ উচ্চারণ: সুবহানাল্লাহি ওয়া
বিহামদিহি আদাদা খালকিহি ওয়া-রিজা
নাফসিহি ওয়া জিনাতা
আরশিহি ওয়া মিদাদা
কালিমাতিহি।
অর্থঃ অর্থ: আমি আল্লাহতায়ালার প্রশংসাসমেত পবিত্রতা ঘোষণা করছি। তার
সৃষ্টিকুলের সংখ্যার পরিমাণ, তিনি সন্তুষ্ট হওয়া পরিমাণ, তার আরশের ওজন সমপরিমাণ, তার কথা লিপিবদ্ধ করার কালি
পরিমাণ।
১৩. নিয়মিত আমলের বদলা
فَسُبْحَانَ اللَّهِ حِينَ تُمْسُونَ وَحِينَ تُصْبِحُونَ
وَلَهُ الْحَمْدُ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَعَشِيًّا وَحِينَ تُظْهِرُونَ
يُخْرِجُ الْحَيَّ مِنَ الْمَيِّتِ وَيُخْرِجُ الْمَيِّتَ مِنَ الْحَيِّ وَيُحْيِي الْأَرْضَ بَعْدَ مَوْتِهَا ۚ
وَكَذَٰلِكَ تُخْرَجُونَ
উচ্চারণঃ ফাসুব হা-না ল্লা-হি হীনা তুম সু-না অহী-না তুছ্ব বিহূ-ন্ অলাহুল হামদু ফিস্ সামা-ওয়া-তি অল আরদ্বি অ‘আশিয়্যান
ওহীনা তুজ-হিরুন। ইয়ুখরিজুল হাইয়্যা মিনাল্ মাইয়্যিতি অ ইয়ুখরিজুল
মাইয়্যিতা মিনাল হাইয়্যি অইয়ুহইল আরদ্বা বায়’দা মাওতিহা-অকাযা-লিকা তুখ রজুন
অর্থঃ তোমরা যখন সন্ধ্যা
কর এবং যখন
সকাল কর তখন
আল্লাহ তায়ালার পবিত্রতা বর্ননা কর এবং
সমস্ত আসমান ও জমিনে
তাহারই প্রশংসা হয় এবং
তোমরা দিনের তৃতীয় প্রহরে এবং সময়ে
তিনি জীবিতকে মৃত হইতে
বাহির করেন।
১৪. চিন্তা, পেরেশানি, ঋণ, অলসতা ও কাপুরুষতার
দূরীকরন
اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحُزْنِ وَ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْعَجْزِ وَ الْكَسَلِ وَ اَعُوْذُبِكَ مِنَ الْجُبْنِ وَ الْبُخْلِ وَ اَعُوْذُبِكَ مِنْ غَلَبَةِ الدَّيْنِ وَ قَهْرِ الرِّجَالِ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হুযনি
ওয়া আউযুবিকা মিনাল আজযি ওয়াল
কাসালি ওয়া আউযুবিকা
মিনাল জুবনি ওয়াল বুখলি
ওয়া আউযুবিকা মিন গালাবাতিত
দাইনি ওয়া কাহরির
রিজালি।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই চিন্তা
পেরেশানি থেকে এবং
আমি আপনার কাছে আশ্রয়
চাই অপারগতা ও অলসতা
থেকে এবং আমি
আপনার কাছে আশ্রয়
চাই কাপুরুষতার ও কৃপণতা
থেকে এবং আমি
আপনার কাছে আশ্রয়
চাই ঋণের বোঝা
ও মানুষের ক্ষোভ থেকে।
১৫. শিশুদের হেফাজতের দু‘আ
أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَامَّةٍ
উচ্চারণঃ আ‘ঊযু
বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাতি
মিন কুল্লি শাইতানিওঁ ওয়া হা-ম্মাহ, ওয়ামিন কুল্লি আইনিল্লা-ম্মাহ্।
অর্থঃ আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি আল্লাহর
পরিপূর্ণ কথাসমূহের, সকল শয়তান থেকে, সকল ক্ষতিকারক পোকামাকড় ও প্রাণী
থেকে এবং সকল
ক্ষতিকারক দৃষ্টি থেকে।
১৬. দুর্দশাগ্রস্ত ব্যক্তির দোয়া # ৩
اللَّهُمَّ رَحْمَتَكَ أَرْجُو، فَلاَ تَكِلْنِي إِلَى نَفْسِي طَرْفَةَ عَيْنٍ، وَأَصْلِحْ لِي شَأْنِي كُلَّهُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা
রহ্মাতাকা
আরজু ফালা তাকিলনী
ইলা নাফসী ত্বারফাতা ‘আইন,
ওয়া আসলিহ্ লী শা’নি কুল্লাহু, লা ইলা-হা ইল্লা
আনতা
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার রহমতেরই আশা করি। তাই আপনি এক নিমেষের জন্যও আমাকে আমার নিজের
কাছে সোপর্দ করবেন না। আপনি
আমার সার্বিক বিষয়াদি সংশোধন করে দিন। আপনি ছাড়া কোনো
হক্ব ইলাহ নেই
১৭. প্রতি রাতে সুরা
ইয়াসিন পড়ার ফযীলত
সুরা ইয়াসিন
উচ্চারণঃ সুরা ইয়াসিন
অর্থঃ সুরা ইয়াসিন
১৮. সকাল সন্ধ্যার
কালেমা
اللَّهُمَّ عَالِمَ الغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ فَاطِرَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ، رَبَّ كُلِّ شَيْءٍ وَمَلِيكَهُ، أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِي، وَمِنْ شَرِّ الشَّيْطانِ وَشِرْكِهِ، وَأَنْ أَقْتَرِفَ عَلَى نَفْسِي سُوءاً، أَوْ أَجُرَّهُ إِلَى مُسْلِمٍ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ‘আ-লিমাল
গাইবি ওয়াশ শাহা-দাতি, ফা-ত্বিরাস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্বি, রাব্বা কুল্লি শাই’ইন ওয়া মালীকাহু, আশহাদু আল্লা ইলা-হা ইল্লা আনতা, আ‘উযু বিকা মিন
শাররি নাফসী, ওয়ামিন শাররিশ শাইত্বা-নী ওয়াশিরকিহী, ওয়া আন আক্বতারিফা ‘আলা নাফসী সূ’আন আউ আজুররাহু ইলা মুসলিম
অর্থঃ হে আল্লাহ! হে গায়েব ও উপস্থিতের জ্ঞানী, হে আসমানসমূহ ও যমীনের স্রষ্টা, হে সব কিছুর রব্ব ও মালিক! আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ছাড়া আর কোনো হক্ব
ইলাহ নেই। আমি
আপনার কাছে আশ্রয়
চাই আমার আত্মার
অনিষ্ট থেকে, শয়তানের অনিষ্টতা
থেকে ও তার
শির্ক বা তার
ফাঁদ থেকে, আমার নিজের উপর কোনো অনিষ্ট
করা, অথবা কোনো মুসলিমের দিকে তা টেনে নেওয়া থেকে।